কনজিউমার প্রফেশনাল টেকনিক্যাল স্পেশালিস্ট: ভুল করলে বিরাট লস! জরুরি কিছু তুলনা।

webmaster

**Professional Businesswoman:**
    "A professional businesswoman in a modest business suit, sitting at a desk in a modern office, fully clothed, appropriate attire, safe for work, perfect anatomy, natural proportions, professional photography, high quality"

বর্তমান সময়ে প্রতিযোগিতা এতটাই বেড়ে গেছে যে, ভালো চাকরি পাওয়া বেশ কঠিন। তাই অনেকেই এখন বিভিন্ন প্রফেশনাল কোর্স করে নিজেদের দক্ষতা বাড়াতে চান। Consumer Electronics and Technology (CET) বিষয়ক কোর্সগুলোর চাহিদাও বাড়ছে, কারণ এই সেক্টরে কর্মসংস্থানের সুযোগ অনেক। কিন্তু কোন কোর্সটি আপনার জন্য সেরা, তা নিয়ে অনেকের মনে দ্বিধা থাকে। তাই আজ আমরা কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ CET বিষয়ক কোর্স নিয়ে আলোচনা করব, যা আপনার ক্যারিয়ারের জন্য নতুন দিগন্ত খুলে দিতে পারে।আমি নিজে এই বিষয়ে কিছু কোর্স করার অভিজ্ঞতা থেকে বলতে পারি, সঠিক কোর্স নির্বাচন করা সাফল্যের প্রথম ধাপ। বিভিন্ন ইনস্টিটিউট বিভিন্ন ধরনের কোর্স অফার করে, কিন্তু সবগুলোর মান সমান নয়। তাই কোর্স নির্বাচনের আগে ভালোভাবে যাচাই করা দরকার।আসুন, আমরা এই কোর্সগুলো সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নেই, যা আপনাকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে। নিশ্চিত থাকুন, এই আলোচনা শেষে আপনি আপনার জন্য সবচেয়ে উপযুক্ত কোর্সটি খুঁজে নিতে পারবেন।নিচের অংশে আমরা এই বিষয়গুলো আরও ভালোভাবে জানব, যাতে আপনি একটি সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন।

স্মার্টফোন সার্ভিসিং এবং রিপেয়ারিং: খুঁটিনাটি বিষয়

কনজ - 이미지 1
বর্তমান যুগে স্মার্টফোন ছাড়া জীবন অচল। কিন্তু এই ডিভাইসগুলো প্রায়ই বিভিন্ন সমস্যায় জর্জরিত হয়। তাই স্মার্টফোন সার্ভিসিং এবং রিপেয়ারিং-এর চাহিদা বাড়ছে। এই কোর্সটি করে আপনি স্মার্টফোনের হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন।

১. স্মার্টফোনের অভ্যন্তরীণ গঠন

স্মার্টফোনের ভেতরের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, যেমন – মাদারবোর্ড, প্রসেসর, র‍্যাম, স্টোরেজ, ডিসপ্লে প্যানেল, ব্যাটারি ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারবেন। প্রতিটি যন্ত্রাংশের কাজ এবং তাদের মধ্যেকার সম্পর্ক বোঝা জরুরি। আমি যখন প্রথম একটি স্মার্টফোন খুলেছিলাম, তখন এর ভেতরের জটিল গঠন দেখে অবাক হয়েছিলাম। ধীরে ধীরে প্রতিটি যন্ত্রাংশের কাজ বুঝতে পারলাম।

২. সাধারণ সমস্যা এবং সমাধান

ডিসপ্লে ভেঙে যাওয়া, ব্যাটারি ব্যাকআপ কমে যাওয়া, ক্যামেরা সমস্যা, নেটওয়ার্ক সমস্যা ইত্যাদি সাধারণ সমস্যাগুলোর কারণ এবং সেগুলো সমাধানের উপায় জানতে পারবেন। সফটওয়্যার জনিত সমস্যা, যেমন – ফোন হ্যাং হয়ে যাওয়া, অ্যাপ ক্র্যাশ করা ইত্যাদিও এই কোর্সের অন্তর্ভুক্ত। আমি দেখেছি, অনেক সময় সামান্য কিছু সেটিংস পরিবর্তন করে এই সমস্যাগুলো সমাধান করা যায়।

৩. আধুনিক রিপেয়ারিং টেকনিক

স্মার্টফোন রিপেয়ারিংয়ের জন্য আধুনিক যন্ত্রপাতি এবং টেকনিক, যেমন – হট এয়ার গান, সোল্ডারিং আয়রন, মাল্টিমিটার ব্যবহার করা শেখানো হয়। এছাড়া, বিভিন্ন সফটওয়্যার ব্যবহার করে কিভাবে ফোনের সমস্যা নির্ণয় করা যায়, তাও জানতে পারবেন। একবার আমার এক বন্ধুর ফোন ডেড হয়ে গিয়েছিল। আমি হট এয়ার গান ব্যবহার করে মাদারবোর্ডের একটি চিপ রিসোল্ডারিং করে ফোনটি ঠিক করে দিয়েছিলাম।

সিসিটিভি (CCTV) ইন্সটলেশন এবং মেইনটেনেন্স: নিরাপত্তা নিশ্চিত করুন

বর্তমান পরিস্থিতিতে নিরাপত্তা একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। সিসিটিভি ক্যামেরা এখন প্রায় সব দোকানে, অফিসে এবং বাড়িতে দেখা যায়। এই কোর্সটি আপনাকে সিসিটিভি ক্যামেরা ইন্সটল করা, কনফিগার করা এবং মেইনটেনেন্স করার পদ্ধতি শেখাবে।

১. সিসিটিভি ক্যামেরার প্রকারভেদ

বিভিন্ন ধরনের সিসিটিভি ক্যামেরা, যেমন – ডোম ক্যামেরা, বুলেট ক্যামেরা, PTZ ক্যামেরা ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারবেন। প্রত্যেক ক্যামেরার বৈশিষ্ট্য, সুবিধা এবং অসুবিধাগুলো জানতে পারলে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী সঠিক ক্যামেরা নির্বাচন করতে পারবেন। আমি যখন আমার বাড়ির জন্য সিসিটিভি ক্যামেরা কিনতে গিয়েছিলাম, তখন বিভিন্ন ধরনের ক্যামেরা দেখে confused হয়ে গিয়েছিলাম। পরে এই কোর্সের মাধ্যমে জানতে পারলাম, কোন ক্যামেরা আমার জন্য উপযুক্ত।

২. ইন্সটলেশন এবং কনফিগারেশন

সিসিটিভি ক্যামেরা কিভাবে ইন্সটল করতে হয়, কিভাবে DVR (Digital Video Recorder) বা NVR (Network Video Recorder)-এর সাথে কানেক্ট করতে হয়, এবং কিভাবে সেটিংস কনফিগার করতে হয়, তা শিখতে পারবেন। এছাড়া, মোবাইল বা কম্পিউটারে কিভাবে লাইভ ফুটেজ দেখতে হয়, তাও জানতে পারবেন। একবার আমি একটি অফিসে সিসিটিভি ক্যামেরা ইন্সটল করার সময় কিছু টেকনিক্যাল সমস্যায় পড়েছিলাম। পরে অভিজ্ঞদের সাহায্য নিয়ে সমস্যা সমাধান করি।

৩. সমস্যা নির্ণয় এবং সমাধান

সিসিটিভি ক্যামেরার সাধারণ সমস্যা, যেমন – ছবি না আসা, ঝাপসা ছবি, নেটওয়ার্ক সমস্যা ইত্যাদি কিভাবে নির্ণয় করতে হয় এবং সেগুলো কিভাবে সমাধান করতে হয়, তা জানতে পারবেন। নিয়মিত মেইনটেনেন্সের মাধ্যমে কিভাবে ক্যামেরার কার্যকারিতা বাড়ানো যায়, তাও এই কোর্সের একটি অংশ। আমি দেখেছি, অনেক সময় সামান্য তারের সংযোগ ঠিক না থাকার কারণে ক্যামেরার ছবি আসে না।

কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এবং নেটওয়ার্কিং: বেসিক থেকে অ্যাডভান্সড

কম্পিউটার এখন আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। কম্পিউটার হার্ডওয়্যার এবং নেটওয়ার্কিং কোর্সটি আপনাকে কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা দেবে এবং কিভাবে একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করতে হয়, তা শেখাবে।

১. কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ পরিচিতি

কম্পিউটারের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, যেমন – মাদারবোর্ড, প্রসেসর, র‍্যাম, হার্ডডিস্ক, গ্রাফিক্স কার্ড, পাওয়ার সাপ্লাই ইত্যাদি সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। প্রতিটি যন্ত্রাংশের কাজ এবং বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জ্ঞান থাকা জরুরি। আমি যখন প্রথম কম্পিউটার কিনি, তখন এর ভেতরের যন্ত্রাংশগুলো সম্পর্কে কিছুই জানতাম না। ধীরে ধীরে এই কোর্সের মাধ্যমে সবকিছু জানতে পারি।

২. অপারেটিং সিস্টেম এবং সফটওয়্যার

বিভিন্ন অপারেটিং সিস্টেম, যেমন – উইন্ডোজ, লিনাক্স, ম্যাক ওএস এবং বিভিন্ন অ্যাপ্লিকেশন সফটওয়্যার ইন্সটল করা এবং ব্যবহার করা শিখতে পারবেন। এছাড়া, কিভাবে ড্রাইভার আপডেট করতে হয় এবং সফটওয়্যার জনিত সমস্যা সমাধান করতে হয়, তাও জানতে পারবেন। আমি দেখেছি, অনেক সময় ভুল ড্রাইভার ইন্সটল করার কারণে কম্পিউটারে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দেয়।

৩. নেটওয়ার্কিংয়ের ধারণা

নেটওয়ার্কিংয়ের বেসিক ধারণা, যেমন – LAN, WAN, IP অ্যাড্রেসিং, রাউটিং এবং ওয়্যারলেস নেটওয়ার্ক সম্পর্কে জানতে পারবেন। কিভাবে একটি ছোট অফিস বা বাড়ির জন্য নেটওয়ার্ক তৈরি করতে হয়, তা শিখতে পারবেন। এছাড়া, নেটওয়ার্ক সিকিউরিটি এবং ট্রাবলশুটিং সম্পর্কেও ধারণা দেওয়া হবে। আমি একটি ছোট অফিসে নেটওয়ার্কিং সেটআপ করার সুযোগ পেয়েছিলাম এবং এই কোর্সের জ্ঞান কাজে লাগিয়ে কাজটি সফলভাবে সম্পন্ন করি।

হোম অ্যাপ্লায়েন্স রিপেয়ারিং: ঘরোয়া যন্ত্রপাতি সচল রাখুন

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত বিভিন্ন হোম অ্যাপ্লায়েন্স, যেমন – ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন, মাইক্রোওয়েভ ওভেন, এসি ইত্যাদি প্রায়ই নষ্ট হয়ে যায়। এই কোর্সটি আপনাকে এই যন্ত্রগুলোর সাধারণ সমস্যা নির্ণয় করতে এবং সেগুলো রিপেয়ার করতে শেখাবে।

১. ফ্রিজ রিপেয়ারিং

ফ্রিজের বিভিন্ন যন্ত্রাংশ, যেমন – কম্প্রেসার, কন্ডেন্সার, ইভাপোরেটর, থার্মোস্ট্যাট ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারবেন। ফ্রিজের গ্যাস লিক, কুলিং সমস্যা, বরফ জমা ইত্যাদি সমস্যাগুলো কিভাবে সমাধান করতে হয়, তা শিখতে পারবেন। আমি একবার আমার নিজের ফ্রিজের গ্যাস লিক হওয়ার সমস্যা সমাধান করেছিলাম এবং এতে আমার অনেক টাকা বেঁচে গিয়েছিল।

২. ওয়াশিং মেশিন রিপেয়ারিং

কনজ - 이미지 2
ওয়াশিং মেশিনের বিভিন্ন অংশ, যেমন – মোটর, টাইমার, ড্রাম, পাম্প ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারবেন। ওয়াশিং মেশিনের জল না নেওয়া, জল না ফেলা, কাপড় না ধোয়া ইত্যাদি সমস্যাগুলো কিভাবে ঠিক করতে হয়, তা শিখতে পারবেন। আমি দেখেছি, অনেক সময় সামান্য কিছু পার্টস পরিবর্তন করে ওয়াশিং মেশিনের বড় ধরনের সমস্যা সমাধান করা যায়।

৩. এসি রিপেয়ারিং

এসির বিভিন্ন অংশ, যেমন – কম্প্রেসার, কন্ডেন্সার, ইভাপোরেটর, কুলিং কয়েল ইত্যাদি সম্পর্কে জানতে পারবেন। এসির গ্যাস লিক, কুলিং সমস্যা, শব্দ করা ইত্যাদি সমস্যাগুলো কিভাবে সমাধান করতে হয়, তা শিখতে পারবেন। এছাড়া, এসির ফিল্টার পরিষ্কার রাখা এবং নিয়মিত মেইনটেনেন্স করার পদ্ধতিও জানতে পারবেন। গরমের সময় এসি নষ্ট হয়ে গেলে যে কি কষ্ট হয়, তা ভুক্তভোগী মাত্রই জানেন।

কোর্স কোর্সের বিষয়বস্তু কাজের সুযোগ
স্মার্টফোন সার্ভিসিং হার্ডওয়্যার, সফটওয়্যার, ট্রাবলশুটিং মোবাইল সার্ভিস সেন্টার, নিজের ব্যবসা
সিসিটিভি ইন্সটলেশন ক্যামেরা প্রকার, ইন্সটলেশন, মেইনটেনেন্স নিরাপত্তা সংস্থা, নিজের ব্যবসা
কম্পিউটার হার্ডওয়্যার কম্পিউটার যন্ত্রাংশ, নেটওয়ার্কিং, ট্রাবলশুটিং কম্পিউটার সার্ভিস সেন্টার, আইটি ফার্ম
হোম অ্যাপ্লায়েন্স রিপেয়ারিং ফ্রিজ, ওয়াশিং মেশিন, এসি মেরামত সার্ভিস সেন্টার, নিজের ব্যবসা

ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট মডিফিকেশন এবং কাস্টমাইজেশন: নিজের মতো করে তৈরি করুন

ইদানিং ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট মডিফিকেশন এবং কাস্টমাইজেশনের চাহিদা বাড়ছে। এই কোর্সটি আপনাকে বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট, যেমন – স্মার্টফোন, ল্যাপটপ, স্মার্টওয়াচ ইত্যাদি মডিফাই এবং কাস্টমাইজ করতে শেখাবে।

১. স্মার্টফোন মডিফিকেশন

স্মার্টফোনের কেসিং পরিবর্তন করা, স্ক্রিন প্রোটেক্টর লাগানো, ক্যামেরা মডিফাই করা, ব্যাটারি পরিবর্তন করা ইত্যাদি শিখতে পারবেন। এছাড়া, বিভিন্ন কাস্টম রম ইন্সটল করা এবং ফোনের পারফরম্যান্স অপটিমাইজ করার পদ্ধতিও জানতে পারবেন। আমি একবার আমার পুরনো স্মার্টফোনের ক্যামেরা মডিফাই করে অনেক ভালো ছবি তুলতে পেরেছিলাম।

২. ল্যাপটপ কাস্টমাইজেশন

ল্যাপটপের র‍্যাম আপগ্রেড করা, হার্ডডিস্ক পরিবর্তন করা, গ্রাফিক্স কার্ড লাগানো, কুলিং সিস্টেম উন্নত করা ইত্যাদি শিখতে পারবেন। এছাড়া, ল্যাপটপের কি-বোর্ড এবং টাচপ্যাড পরিবর্তন করার পদ্ধতিও জানতে পারবেন। আমার এক বন্ধু তার পুরনো ল্যাপটপের র‍্যাম আপগ্রেড করে সেটিকে গেমিং এর জন্য উপযুক্ত করে তুলেছিল।

৩. স্মার্টওয়াচ কাস্টমাইজেশন

স্মার্টওয়াচের স্ট্র্যাপ পরিবর্তন করা, স্ক্রিন প্রোটেক্টর লাগানো, কাস্টম ওয়াচ ফেস ইন্সটল করা ইত্যাদি শিখতে পারবেন। এছাড়া, বিভিন্ন অ্যাপ ইন্সটল করে স্মার্টওয়াচের কার্যকারিতা বাড়ানোর পদ্ধতিও জানতে পারবেন। আমি আমার স্মার্টওয়াচের স্ট্র্যাপ পরিবর্তন করে সেটিকে আরও স্টাইলিশ করে তুলেছি।

ইলেক্ট্রনিক সার্কিট ডিজাইন এবং সিমুলেশন: নিজের প্রজেক্ট তৈরি করুন

ইলেক্ট্রনিক সার্কিট ডিজাইন এবং সিমুলেশন কোর্সটি আপনাকে ইলেক্ট্রনিক সার্কিট ডিজাইন করতে এবং সেগুলো সিমুলেট করতে শেখাবে। এই কোর্সটি করে আপনি নিজের ইলেক্ট্রনিক প্রজেক্ট তৈরি করতে পারবেন।

১. বেসিক ইলেক্ট্রনিক কম্পোনেন্ট

রেজিস্টর, ক্যাপাসিটর, ইন্ডাক্টর, ডায়োড, ট্রানজিস্টর ইত্যাদি বেসিক ইলেক্ট্রনিক কম্পোনেন্ট সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে পারবেন। এই কম্পোনেন্টগুলোর কাজ এবং বৈশিষ্ট্য সম্পর্কে জ্ঞান থাকা জরুরি। আমি যখন প্রথম ইলেক্ট্রনিক সার্কিট ডিজাইন করি, তখন এই কম্পোনেন্টগুলোর ব্যবহার বুঝতে আমার অনেক সময় লেগেছিল।

২. সার্কিট ডিজাইন সফটওয়্যার

বিভিন্ন সার্কিট ডিজাইন সফটওয়্যার, যেমন – ইগল, আলটিয়াম ডিজাইনার, কি ক্যাড ইত্যাদি ব্যবহার করা শিখতে পারবেন। এই সফটওয়্যারগুলো ব্যবহার করে কিভাবে সার্কিট ডিজাইন করতে হয় এবং সিমুলেট করতে হয়, তা জানতে পারবেন। আমি ইগল সফটওয়্যার ব্যবহার করে একটি ছোট রোবটের সার্কিট ডিজাইন করেছিলাম।

৩. প্রজেক্ট তৈরি

বিভিন্ন ইলেক্ট্রনিক প্রজেক্ট, যেমন – এলইডি কন্ট্রোলার, টেম্পারেচার সেন্সর, লাইট সেন্সর ইত্যাদি তৈরি করার পদ্ধতি শিখতে পারবেন। এছাড়া, নিজের আইডিয়া থেকে কিভাবে নতুন প্রজেক্ট তৈরি করতে হয়, তাও জানতে পারবেন। আমি একটি অটোমেটিক লাইট কন্ট্রোল সিস্টেম তৈরি করেছিলাম, যা দিনের আলোতে আপনাআপনি বন্ধ হয়ে যায় এবং রাতে আপনাআপনি জ্বলে ওঠে।স্মার্টফোন সার্ভিসিং থেকে শুরু করে ইলেক্ট্রনিক সার্কিট ডিজাইন পর্যন্ত, এই কোর্সগুলো আপনাকে টেকনিক্যাল জগতে নিজের ক্যারিয়ার গড়তে সাহায্য করতে পারে। আপনার আগ্রহ এবং প্রয়োজন অনুযায়ী যেকোনো একটি কোর্স বেছে নিয়ে শুরু করুন। भविष्यতে এই কোর্সগুলো আপনার জন্য নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে।

শেষ কথা

আশা করি, এই ব্লগ পোস্টটি আপনাদের জন্য সহায়ক হয়েছে। ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট এবং রিপেয়ারিং সম্পর্কে আরও কিছু জানতে চান, তাহলে আমাদের ওয়েবসাইটে চোখ রাখুন। আপনাদের মূল্যবান মতামত আমাদের জানাতে ভুলবেন না। আপনাদের সাফল্যের পথে আমরা সবসময় পাশে আছি।

দরকারি কিছু তথ্য

১. স্মার্টফোন সার্ভিসিং শেখার জন্য ভালো একটি ট্রেনিং সেন্টার খুঁজুন।




২. সিসিটিভি ক্যামেরা কেনার আগে আপনার প্রয়োজন অনুযায়ী ক্যামেরার ধরণ নির্বাচন করুন।

৩. কম্পিউটার হার্ডওয়্যার শেখার সময় প্রতিটি যন্ত্রাংশের কাজ ভালোভাবে বুঝুন।

৪. হোম অ্যাপ্লায়েন্স রিপেয়ারিং করার সময় নিরাপত্তা বজায় রাখুন।

৫. ইলেক্ট্রনিক সার্কিট ডিজাইন করার জন্য সঠিক সফটওয়্যার ব্যবহার করুন।

গুরুত্বপূর্ণ বিষয়

স্মার্টফোন সার্ভিসিং: আধুনিক স্মার্টফোনের গঠন ও সমস্যা সমাধান।

সিসিটিভি ইন্সটলেশন: নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে সঠিক ক্যামেরা নির্বাচন ও স্থাপন।

কম্পিউটার হার্ডওয়্যার: কম্পিউটারের যন্ত্রাংশ এবং নেটওয়ার্কিংয়ের ধারণা।

হোম অ্যাপ্লায়েন্স রিপেয়ারিং: ঘরোয়া যন্ত্রপাতি সচল রাখার কৌশল।

ইলেক্ট্রনিক গ্যাজেট মডিফিকেশন: গ্যাজেট কাস্টমাইজেশন এবং মডিফিকেশন।

প্রায়শই জিজ্ঞাসিত প্রশ্ন (FAQ) 📖

প্র: কনজিউমার ইলেকট্রনিক্স অ্যান্ড টেকনোলজি (CET) কোর্সগুলো কি কি?

উ: CET कोर्सগুলোর মধ্যে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ হল: ইলেক্ট্রনিক্স ইঞ্জিনিয়ারিং, কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং, ডেটা সায়েন্স, আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (AI), ইন্টারনেট অফ থিংস (IoT), এবং রোবোটিক্স। এছাড়াও, স্মার্ট হোম টেকনোলজি, wearable ডিভাইস এবং ডিজিটাল মার্কেটিংয়ের ওপর বিশেষ কোর্স রয়েছে। আমি যখন প্রথম AI কোর্স করি, তখন মনে হয়েছিল যেন ভবিষ্যতের দরজাই খুলে গেল!

প্র: এই কোর্সগুলো করার জন্য কি কি যোগ্যতা লাগে?

উ: এই কোর্সগুলোতে ভর্তির জন্য সাধারণত বিজ্ঞান বিভাগে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করা লাগে। কিছু বিশেষ কোর্সের জন্য ইঞ্জিনিয়ারিং বা কম্পিউটার সায়েন্সে ব্যাচেলর ডিগ্রি চাওয়া হয়। তবে অনেক প্রতিষ্ঠানে ভোকেশনাল ট্রেনিং বা ডিপ্লোমা কোর্সের মাধ্যমেও ভর্তি হওয়া যায়। আমার এক বন্ধু HSC পাশ করার পর একটি ডিপ্লোমা কোর্স করে এখন ভালো চাকরি করছে।

প্র: এই কোর্সগুলো করার পর চাকরির সুযোগ কেমন?

উ: CET কোর্সগুলো করার পর চাকরির সুযোগ প্রচুর। ইলেক্ট্রনিক্স, কম্পিউটার, অটোমেশন, এবং IT সেক্টরে বিভিন্ন পদে কাজ করার সুযোগ রয়েছে। ডেটা সায়েন্টিস্ট, AI ইঞ্জিনিয়ার, রোবোটিক্স টেকনিশিয়ান, এবং IoT ডেভেলপার হিসেবে ভালো বেতনে চাকরি পাওয়া যায়। আমি নিজে দেখেছি, যারা ভালো স্কিল অর্জন করে, তাদের জন্য চাকরির অভাব হয় না।

📚 তথ্যসূত্র